Monday, September 7, 2009

কুটিরশিল্পের ভাষা

তোমাকে জানাতে হবে আজ... কুটিরশিল্পের ভাষা

কেননা, শেষপর্যন্ত যে নদীটি মরে যাচ্ছে-
এর জন্যে জলকেই বলা যায়:
        ‘কারণ দর্শাও’
সঙ্গে এও বুঝতে হবে, জলেরই সবচেয়ে চরিত্র খারাপ;
যেহেতু সে নদী হতে গিয়ে, কতদিন
    দিঘি-হ্রদ-হাওড়ের,
আমাদের চেনা ওই কাঠামোতে
তাকে ঠিক
    শুতে হয়েছিলো...

তাহলে? জল আজ অন্য গাঁয়ে
        গিয়েছে বলেই
মোটামুটি শুয়েছে বলেই
দেখতে দেখতে নদীটি মরছে...
    কবিতা লিখছি আমি!

জীর্ণপাতা ঝরার বেলায়
পাতা থেকে ঝরেপড়া
    একফোঁটা অলৌকিক জল
আমার বোনের মতো- বিনত মাটিতে পড়তেই
            সৃষ্টি হয়
        এইসব নদী-হ্রদ
            হারা-নৌকা
                ভাটিয়ালি
                    ভোলামন
                        মাঠের জার্নাল...
অবশ্য বিলুপ্ত প্রায়-
    আজ এ কুটিরশিল্প!
আর আমি ক্ষুদ্রজাত... কেননা
কুটির শিল্পের ভাষাকেই
    প্ররোচনা আর প্ররচনা করি:
ফলে, আমি ওই নদীটিকে জন্মাতে দেখেছি! যেদিন
আমার মা ও বাবা
        মুগ্ধ
        কন্যা সংহিতা করেছিলেন!

তোমাকে দেখাতে হবে, আরও... কুটিরশিল্পের ডিঙা!

জান কি, শেষপর্যন্ত নদীটি আমার বাক্য
    ব্যবহারে অবসন্ন
        ক্ষয়িত কলের গান...
            আজ পরিত্রাণ পেতে চায়?

সঙ্গে এও জানাতে হবে যে, জল আসে আরও কোনও
                জল থেকে বলে
চড়ায় নদীকে রেখে সেই জলই চলে যায়:
        ‘মরুতে তুমিই ত্রাণ’
যেহেতু ক্ষুদ্রজাতের, কুটিরশিল্পের কথা
        তোমাকে জানাতে চাই!

যেহেতু আমিও
    মৃতবৎপ্রাণ... বালুময়
        কবিতা লিখতে লিখতে
কত যে মাইল মাইল
ধুধুকে বলেছি
    ‘গার্ল!’
    ও গার্ল
সি ইউ এগেইন, গুডবাই...

No comments:

Post a Comment