Aayur Singhason: পপ পোয়েট্রি

Thursday, September 10, 2009

পপ পোয়েট্রি

আমার        মুঠোয় শুধু গান
আমি        ছড়িয়ে দিতে পারি!
    মাথার উপর তুমুল আকাশ;
    আকাশটা সরকারি...

আমার        মুঠোয় শুধু ধান
আমি        ছড়িয়ে দিতে পারি!
    ঝরাপাতায় পত্র লিখে
    বনে ব্র‏হ্মচারী

আমার        মুঠোয় শুধু প্রাণ
আমি        ছড়িয়ে দিতে পারি!
    যা জিতেছি দীর্ঘজীবন
    একমুহূর্তে হারি...

আমার        মুঠোয় শুধু বাণ
আমি        ছড়িয়ে দিতে পারি!
    একমুঠো মেঘ ধরতে যাবো?
    মেঘ নয় ওটা, শাড়ি...

    মাথার উপর তুমুল আকাশ
    আকাশটা সরকারি

ধুলো    আমি ছড়িয়ে যেতে পারি
ধুলো    আমি জড়িয়ে যেতে পারি...

No comments:

Post a Comment

Subscribe to: Post Comments (Atom)

বিশ শতকের শেষ সাড়েত্রিশ বছরে টোকন ঠাকুরের জন্ম, বেড়ে-ওঠা। একদিন, বিকল্পপাড়ার কাক্সা তাকে অতিক্রম করিয়েছে গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে গ্রামে... এখন শহরেই শারীরিক স্থিতি কিন্তু মন পরিব্রাজক। -কে কখন ডেকেছিল তাকে কবিতাপরী বা প্রেতিনীর সুন্দর বা বীভৎসতায়? ...‘সে কি আর স্পষ্ট করে মনে পড়ে? তবে আত্মস্বরের সম্মিলিত এককে একটি বিকল্পপাড়ার অন্বেষণ ছিল আমার ভিতরে, না পেয়ে দিনে দিনে জেগে উঠেছিল একটি বিকল্পপরায়ণতার দাবি; তাই কবিতা লেখা বা বিকল্প করে বলার চেষ্টা।’ ...সতীর্থে, গোত্রবন্ধুদের এক আশ্চর্য অভিযোগ, টোকন ঠাকুর বেশি লেখেন, পরিসংখ্যান ঠাকুরেরও নেই- তবে টোকন মন খারাপ থাকলে লেখেন আর লেখেন মন ভালো থাকলে। ভাল থাকা-না-থাকার ভেতরে ভাল থেকে, মর্মন্তুদ বেদনার কথা নিয়ে আনন্দের আলোড়ন তুলে, প্রত্যাখ্যানের অপমানকে নিরস্ত্র রেখে ঠাকুর লিখতে বসেন; শব্দের বিকল্প সন্ধান করতে গিয়ে মৌলমুহূর্তে পেয়ে যান মহার্ঘ শব্দটি- ফলে তার এক-একটি কবিতা নির্মাণের-প্রসবের তাৎক্ষণিক চি‎হ্নসমূহ মুছে ফেলে কেমন স্বতঃউৎসারিত ভূমিকন্যা ও তার ভাই- ভূমিপুত্র হয়ে ওঠে। ভালো লাগে। ‘গুপ্তগৃহে লুপ্তপ্রায় বংশকারিগর আমাদেরই পরিবেদনায় ভীষণ অভাবেও আমরা, তুলোবীজ কবিতা বানাই...’ -টোকন ঠাকুরের কবিতার স্বাদ পেতে আয়ুর সিংহাসন পাঠ করে ফেলাই যথার্থ।

ভেবেছি, নৃপতি হবার শক্তি আমার নেই; আমি কোনওদিন কোনও বাঁশি নিয়ে চিলেকোঠায় বসতে পারব না! কিন্তু নতুন সম্রাজ্ঞীর জন্য বিশেষ ব্যাকুলতাও কি আমার পিঞ্জরে নেই? আর আমিই কিনা সিংহাসনে বসতে চাই? আগুনে প্রাসাদ পুড়ে যাচ্ছে, বাঁশি বাজছে- এমন দৃশ্যও লিখতে চাই! দেখেছি, আমার এক-একটি শব্দেরও কিছু শক্তি আছে! কয়েকটি শব্দের ঐক্যে একটি মতাপরায়ণ বাক্যও দাঁড়িয়ে যায়। বাক্যশেষে আমিও দাঁড়াই... আবার ফিরে এসে ফের শুরু করি... একদিন, শীর্ণ এক নদীর পাশেই আমি ঘুমিয়ে পড়তে গিয়ে অজ্ঞাতসারে আরও দেখেছি যে- আমার সমস্ত আয়ু থেকে নিঃশব্দে বেরিয়ে আসছে অচেনা এবং সুচেনা অনেক শব্দ; আর সেইসব শব্দের ঐক্যে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে এক-একটি বাক্যময় সিংহাসন। সেই সিংহাসনে আমি আর বসতে পারি না... আর আমার সম্রাজ্ঞী, আমি বেঁচে থাকতেই তাকে বিধবা মনে করে যথেষ্ট দরদী হয়ে উঠছে আমারই বন্ধুরা! আজ মম বন্ধুদের জ্ঞাতার্থে জানাই- সম্রাজ্ঞীকে সিংহাসন, প্রাসাদে-আগুন, পোড়ামন বাঁশির চরিত্র বনাম কবিতা... যা যা আমি দিয়েছি- যেভাবে তরুণ ছেলেটি কোনও আপেক্ষিক-যুদ্ধে জীবন ঢেলে দেয়, যেভাবে সবুজ ঘাসও রক্তাক্ত হয়ে ওঠে, যেভাবে বনভূমির একা-গাছটিও একদিন কবি হয়ে যায়... যেন এসবের সাক্ষী থেকেই, আমি প্রজ্ঞাত হই- ভুল! ভুল এ জীবন!! ভুল আমার স্বপ্ন... ভুল সিংহাসন ***{ভেসে যাই জলে লেখা আমি সেই নাম, এ-বাঁকে ও-বাঁকে ঘুরে ভেসে চলিলাম; আমি সেই বালুময় তীরে আঁকা ছবি, আমারে যে লেখে তার ডাক নাম কবি; আমারে যে আঁকে তার আহত আঙুল, একদিন ছুঁয়েছিলি নীল-শাদা ফুল; নীল-শাদা ফুল ফোটে অবেলা-গগণে, হাওয়ালিপি ইশকুলে যাই মনে মনে; মনে মনে মিশে যাই আমি গতদিন, কোথায় জড়িয়ে গেছে কতটুকু ঋণ; এ-বাঁকে ও-বাঁকে ঘুরে, কে লিখেছে কাকে, দেখি শাদা কাশবন, কবিমুখ আঁকে; মিশে যাই ধুধু-বিচে, আমি পথরেখা, ভেসে যাই জলে আমি জলাক্ষরে লেখা:}***