আসন্ন লুপ্তির আগে, আলো একবার
জ্বলে উঠেছিল! যাকে বলি অন্ধকার
তাও এল হাতের তালুতে, বিস্তারিত!
যদি হাত মুঠো করি, আমি তবে মৃত-
এক তারমাছ, জোছনায়... বালুচরে!
আসন্ন লুপ্তির আগে, এত আলো ঝরে?
অথবা এই যে নদী- মৃতবৎপ্রায়
আমি এর পাড়ে এসে থমকে দাঁড়াই
কেন? কেন আমি কবিময় মেঘ থেকে
বারবার জন্ম নিই, প্রপতন দেখেও?
যখন দেখেছি এক বউপাখি ডাকে
অবিরাম কোনও কুমারসভার পাশে!
দেখেছি দীপিত মন, দগ্ধ... দুর্বিপাকে,
মনও তবে মন্বন্তর, লুপ্তি ভালোবাসে?
মন লুপ্ত মেধা লুপ্ত, লুপ্ত শবাধার
লুপ্ত বহু সাম্রাজ্যের, গুপ্ত সমাচার...
আমি গুপ্তদের পাশে, আঁধিবর্ণকনা
তবে যা বেসেছি ভালো, তা তো বলব না...
বলব না ছিল বহু বাঞ্ছা-লুপ্ত বেলা
সেই প্রচ্ছন্ন দিনের পাশে, ক্ষতময়!
পাতাপাতা লিখে তবু ফের ছিঁড়ে ফেলা
যত প্রসিদ্ধ চেতনা... সংশয় শত
সংশয় একটি শব্দ, অর্থ বহুদূর
আমার নিভৃত নাম, সংশয় ঠাকুর
এদিকে কুটিরশিল্প- তাঁত, স্বপ্ন, আশা,
ধুধুশব্দ কবিতা বা ফেরার পিপাসা;
আসন্ন লুপ্তির আগে, জ্বলি একবার
তাই-ই লিখি, মোটকথা লিখি অন্ধকার...
লিখি কিছু ব্যক্তিগত, অবনত কথা
লিখি বাক্য জিষ্ণুপ্রিয়, শীর্ষে বিফলতা
কেননা ক্ষুদ্রজাতের, কবি বা যাহারা
তাদের বিশেষ লক্ষ, জলকে পাহারা
দেয়া বৈ কিছু নয়, নদীমাত্র জানে
যেহেতু জলের ধর্ম, মৃত... অভিধানে!
মৃত কি পাখিও নয়? মৃত... ছাপা হলে
মৃত যা লিখেছি খাতায়, লিপিকৌশলে।
মৃত যত উচ্চারণ, ছুঁড়ে দেয়া তীর
এরই ফাঁকে মৌন, সেও শব্দে চৌচির...
এরই মধ্যে বহুবাক্য, বহু দিকে দিকে
ছড়িয়ে গিয়েছে! ফলে, বসবাসও শিখে
নিয়ে, অন্যদেশে তারা অন্য সম্প্রদায়...
এতদিনে, রাতে, আমাকে ভুলেছে প্রায়...
আমিও ভুলেছি ধর্ম, একদিকে গিয়ে
রহস্যমন্ত্রীর মেয়ে, তাকে করি বিয়ে;
হেনকালে শুরু করি রহস্যসংসার!
তা-ও লিখি, মোটকথা লিখি অন্ধকার...
এত লেখা এত দিকে, কোথায় পালালো
আসন্ন লুপ্তির আগে, আমি কিছু আলো
হয়ে, দ্যাখো আজও নিজেকে ছড়াই...
ধূসর কুটিরশিল্প তো বিলুপ্তপ্রায়!
জ্বলে উঠেছিল! যাকে বলি অন্ধকার
তাও এল হাতের তালুতে, বিস্তারিত!
যদি হাত মুঠো করি, আমি তবে মৃত-
এক তারমাছ, জোছনায়... বালুচরে!
আসন্ন লুপ্তির আগে, এত আলো ঝরে?
অথবা এই যে নদী- মৃতবৎপ্রায়
আমি এর পাড়ে এসে থমকে দাঁড়াই
কেন? কেন আমি কবিময় মেঘ থেকে
বারবার জন্ম নিই, প্রপতন দেখেও?
যখন দেখেছি এক বউপাখি ডাকে
অবিরাম কোনও কুমারসভার পাশে!
দেখেছি দীপিত মন, দগ্ধ... দুর্বিপাকে,
মনও তবে মন্বন্তর, লুপ্তি ভালোবাসে?
মন লুপ্ত মেধা লুপ্ত, লুপ্ত শবাধার
লুপ্ত বহু সাম্রাজ্যের, গুপ্ত সমাচার...
আমি গুপ্তদের পাশে, আঁধিবর্ণকনা
তবে যা বেসেছি ভালো, তা তো বলব না...
বলব না ছিল বহু বাঞ্ছা-লুপ্ত বেলা
সেই প্রচ্ছন্ন দিনের পাশে, ক্ষতময়!
পাতাপাতা লিখে তবু ফের ছিঁড়ে ফেলা
যত প্রসিদ্ধ চেতনা... সংশয় শত
সংশয় একটি শব্দ, অর্থ বহুদূর
আমার নিভৃত নাম, সংশয় ঠাকুর
এদিকে কুটিরশিল্প- তাঁত, স্বপ্ন, আশা,
ধুধুশব্দ কবিতা বা ফেরার পিপাসা;
আসন্ন লুপ্তির আগে, জ্বলি একবার
তাই-ই লিখি, মোটকথা লিখি অন্ধকার...
লিখি কিছু ব্যক্তিগত, অবনত কথা
লিখি বাক্য জিষ্ণুপ্রিয়, শীর্ষে বিফলতা
কেননা ক্ষুদ্রজাতের, কবি বা যাহারা
তাদের বিশেষ লক্ষ, জলকে পাহারা
দেয়া বৈ কিছু নয়, নদীমাত্র জানে
যেহেতু জলের ধর্ম, মৃত... অভিধানে!
মৃত কি পাখিও নয়? মৃত... ছাপা হলে
মৃত যা লিখেছি খাতায়, লিপিকৌশলে।
মৃত যত উচ্চারণ, ছুঁড়ে দেয়া তীর
এরই ফাঁকে মৌন, সেও শব্দে চৌচির...
এরই মধ্যে বহুবাক্য, বহু দিকে দিকে
ছড়িয়ে গিয়েছে! ফলে, বসবাসও শিখে
নিয়ে, অন্যদেশে তারা অন্য সম্প্রদায়...
এতদিনে, রাতে, আমাকে ভুলেছে প্রায়...
আমিও ভুলেছি ধর্ম, একদিকে গিয়ে
রহস্যমন্ত্রীর মেয়ে, তাকে করি বিয়ে;
হেনকালে শুরু করি রহস্যসংসার!
তা-ও লিখি, মোটকথা লিখি অন্ধকার...
এত লেখা এত দিকে, কোথায় পালালো
আসন্ন লুপ্তির আগে, আমি কিছু আলো
হয়ে, দ্যাখো আজও নিজেকে ছড়াই...
ধূসর কুটিরশিল্প তো বিলুপ্তপ্রায়!
No comments:
Post a Comment